Friday, July 17, 2020

সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করব, দম থাকলে আটকান', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের

সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করব, দম থাকলে আটকান', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের

'সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করব, দম থাকলে আটকান', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষেরপুরুলিয়ায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা হরিনাম সংকীর্তন করতে আসিনি। আমরা সবকিছুতে রাজনীতি করবো। দম থাকলে আটকান।“
Updated By: Jul 17, 2020, 11:15 AM IST

নিজস্ব প্রতিবেদন: সবকিছু নিয়েই রাজনীতি হবে, ক্ষমতা থাকলে রাজ্য সরকারকে রুখে দেখাতে হবে। এবার সরাসরি চ্যালেঞ্জ বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের।

পুরুলিয়ায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা হরিনাম সংকীর্তন করতে আসিনি। আমরা সবকিছুতে রাজনীতি করবো। দম থাকলে আটকান।“

শুক্রবার পুরুলিয়ায় দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে দিলীপ ঘোষ রাজ্যের চিকিত্সা পরিষেবা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দেন। তাঁর অভিযোগ, “বিনা চিকিৎসায় এখানে মানুষ মারা যাচ্ছেন। আগে থেকে লেখা ডেথ সার্টিফিকেট ইস্যু করছে। মুখ্যমন্ত্রী উত্তরপ্রদেশ, দিল্লির স্বাস্থ্য ব্যাবস্থা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করুন।“

সম্প্রতি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি ইস্যুতে রাজ্যপাল-রাজ্য তরজা চরমে উঠেছে। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পারলে উনি রাজ্যপালকেও গ্রেফতার করতেন। ওঁকে মুখ্যমন্ত্রী রোজ অসম্মান করছেন।“

জলপাইগুড়ির পুলিস সুপার বদলি নিয়ে দিলীপ ঘোষের মন্তব্য, “আগে ওঁকে বদলি করলে তাঁদের নেতাকে এভাবে মরতে হতনা।“

করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তিন বারে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার বিল! চমকে উঠল পরিবার

করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তিন বারে ৯ লক্ষ ১৫ হাজার টাকার বিল! চমকে উঠল পরিবার


নিজস্ব প্রতিবেদন:  করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর পর তিন বার বিল! তিন খেপে মোট সাড়ে আট লক্ষ টাকা দেওয়ার পরও আরও ৬৫ হাজার টাকা চাওয়ার অভিযোগ কলকাতার একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে৷ কেন এমনটা হল, এর কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি কর্তৃপক্ষ৷

জানা যায়, বহরমপুরের ৭২ বছরের বাসিন্দা মনোরঞ্জন রায় জ্বর, সর্দি কাশি নিয়ে কলকাতার ওই নার্সিংহোমে ভর্তি হন৷ তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে৷ পরীক্ষার ফল পজেটিভ আসে৷ শনিবার মৃত্যু হয় তাঁর৷ তাঁর ছেলে ও স্ত্রীকেও নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ ভর্তি করে নেন৷
পরিবারের অভিযোগ, প্রথমে নার্সিংহোমের তরফে সাড়ে তিন লক্ষ টাকার বিল দেওয়া হয়৷ এরপর ফোন করে জানানো হয়, কিছুটা ভুল হয়ে গেছে, আরও ৫ লক্ষ টাকা অর্থাত্ মোট সাড়ে আট লক্ষ টাকার বিল দেওয়া হয়৷

পরিবার সেই টাকা দিয়ে দেয়৷ মৃতদেহ আনার আগেরদিন রাতে অর্থাত্ বৃহস্পতিবার রাতে নার্সিংহোমের তরফে জানানো হয় আরও ১৫ হাজার টাকা লাগবে, সেই টাকাও পরিবার দিয়ে দেয় বলে দাবি৷


এরপর শুক্রবার সকালে দেহ আনতে গেলে আরও ৬৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাওয়া হয় বলে অভিযোগ৷ পরিবারের প্রশ্ন, কেন একবারে সঠিক বিল দেওয়া হচ্ছে না, কেন বারবার করে টাকা চাওয়া হচ্ছে?
যদিও এই নিয়ে নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, “কিছু একটা সমস্যা হয়েছিল, আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি৷

পরবর্তী খবর=

''অভিনেত্রীদের রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, এমন লোকও সুশান্তের জন্য শোক দেখাচ্ছেন'


''অভিনেত্রীদের রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, এমন লোকও সুশান্তের জন্য শোক দেখাচ্ছেন''

''অভিনেত্রীদের রাত কাটানোর প্রস্তাব দিয়েছেন, এমন লোকও সুশান্তের জন্য শোক দেখাচ্ছেন''

নিজস্ব প্রতিবেদন : সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর 'স্বজনপোষণ' বিতর্কে বি-টাউন এখন দ্বিধাবিভক্ত। বি-টাউনে কারা পারিবারিক কারণে অংশীদার হয়েছেন, আর কারা বহিরাগত, তা নিয়েই যত আলোচনা। এবার এবিষয়েই নিজের ব্লগে মুখ খুললেন সুশান্তের একসময়ের সহকর্মী রিচা চাড্ডা। তাঁর কথায়, 'অভ্যন্তরীণ' আর 'বহিরাগত' নয়, বলিউড বিভক্ত ভালো-মন্দ মানুষে।

রিচার লিখেছেন, তিনি নিজে বহিরাগত হয়ে বুঝেছেন, বিষয়টা আসলে খাদ্য-শৃঙ্খলের মতো। তাঁর কথায়, সুশান্তের মৃত্যুতে আজ যাঁরা শোক দেখাচ্ছেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকে আছেন, যাঁরা একদিন অধীনস্তদের প্রতি নিষ্ঠুর আচরণ করেছিলেন। রিচা বলেন, ''আসলে অভিনয়টা হল বিচ্ছিন্ন একটা পেশা। যেখানে কর্মক্ষেত্রের প্রভাব ব্যক্তিগত জীবনেও পড়ে। বলিউডের অভ্যন্তরেও এমন অনেক লোক রয়েছেন, যাঁরা বেশ দয়ালু, সহৃদয়। আবার এমন অনেকেও রয়েছেন, যাঁরা বাইরে থেকেও এসেও কিন্তু ভয়ঙ্কর অহংকারী। আমি আমার কেরিয়ারের শুরুতে বহিরাগতই ছিলাম। আমাকেও অনেক কিছুর সম্মুখীন হতে হয়েছে। তবে পরবর্তীকালে সেটাই আমার শক্তি হয়ে

দাঁড়িয়েছে। এক্ষেত্রে বিভিন্ন লোকজনের অভিজ্ঞতা ভিন্ন।''

রিচার কথায়, ''বলিউডে স্বজনপোষণ বিষয়টা আমার কাছে হাস্যকার। আমি তারকা সন্তানদের ঘৃণা করিনা। আর কেনই বা করব? কেউ যদি কোনও তারকার পরিবারে জন্ম নেয়, তাহলে সমস্যা কোথায়? আমরাও তো কোনও না কোনও পরিবারে জন্ম নিয়েছি। আমরা কি আমাদের বাবা-মায়ের জন্য লজ্জা পাই? স্বজনপোষণ বিষয়টাই আসলে খুব বোকার মত একটা যুক্তি। আমিও কষ্ট করে প্রতিষ্ঠিত হয়েছি। এখন আমার সন্তান কি তার জন্য লজ্জা পাবে?''

সুশান্তের সঙ্গে নিজের বন্ধুত্ব প্রসঙ্গে রিচা লিখেছেন, ''সুশান্ত আর আমি একই থিয়েটার গ্রুপে অভিনয় করতাম। আমি দিল্লি থেকে আসার পর মুম্বইয়ে আমার বন্ধুর সঙ্গে ৭০০ স্কোয়ার ফিটের একটা ফ্ল্যাটে থাকতাম। সুশান্ত আমাকে প্রায়ই ওর বাইকে রিহার্সালে নিয়ে যেত, যার জন্য আমি কৃতজ্ঞ। আমি যে ভীষণ গরিব ছিলাম, ভেঙে পড়েছিলাম, এমনটা নয়। তবে আমাকেও ত্বকের একটি ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন করতে হয়েছিল, কারণ টাকাটা প্রয়োজনীয় ছিল। যখন মেকআপ করে অটো বা রিক্সোয় চড়ে অডিশানে যেতাম, তখন মেকআপ গলে যেতে পারে এই আশঙ্কা করতাম। যেটা কোনও তারকা সন্তানের ক্ষেত্রে হয়ত হয়না। যদি কোনও তারকা সন্তান রিক্সা করে অডিশন দিতে যায়, তাহলে তাঁদের সেজন্য আলাদা করে প্রশংসা প্রাপ্য। তবে আমি এই সুবিধা নেওয়ার পক্ষপাতী নই। ''

তবে কারোর মৃত্যুর জন্য কোনও অভিনেত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছে সেটাও সমর্থনযোগ্য নয় বলে লেখেন রিচা। রিচার প্রশ্ন, সুশান্তের মৃত্যুতে আজ যাঁরা তাঁর প্রেমিকাকে ধর্ষণ করে খুনের হুমকি দিচ্ছেন তাঁরা কী ধরনের অনুরাগী? রিচা লেখেন, এদের মধ্যে কিছু লোকজনের প্রোফাইল আমি চেক করেছি, যাঁরা একসময় সুশান্তকেও তাঁর 'পদ্মাবত' ছবি নিয়ে মত প্রকাশের জন্য আক্রমণ করেছিলেন। এখন তারাই আবার অন্য কাউকে গালি দিচ্ছে।

এখানেই থামেননি রিচা। তিনি আরও লিখেছেন, ''সুশান্তের মৃত্যুর জন্য একমাস আগে সমবেদনা জানিয়েছিলেন অনেকেই। তাঁদের মধ্যে এমন লোকও রয়েছে, যিনি নায়িকা রাত কাটাতে অস্বীকার করায়, তাঁকে সিনেমা থেকেই সরিয়ে দিয়েছিলেন।''




Monday, June 15, 2020

রসগোল্লা –









Click,tag,button,internet,web - free image from needpix.com

Add caTP-Link TL-WN725N 150Mbps Wireless N Nano USB Adapter (Black)ption

কথাটি শুনে রহিমের মুখটি কেমন যেন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। কিন্তু কিছু বুঝতে না দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই হেসে দিয়ে বলল, ‘আমি একটু আগেই বাসা থেকে খেয়ে এসেছি’। ও বুঝতে দিতে না চাইলেও ওর চেহারা দেখেই আমি বুঝতে পারলাম ওর পকেটে হয়তো টাকা কম ছিল। টাকা নেই পকেটে তারপরেও একটি নয় দুটি বিরিয়ানি এনেছে। খুব মায়া হলো রহিমের জন্য। ভালোবাসায় হৃদয়টি ভরে গেল। মন চেয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেটটি খুলে নিজের হাত দিয়ে ওকে একটু খাইয়ে দেই। কিন্তু বাসার নিচে দাঁড়িয়ে খাওয়াতে গেলে কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে। আম্মুতো ওর কথা জানে না তাই ওকে বাসায়ও আসতে বলতে পারলাম না। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। কপালে কুয়াশার মতো কয়েকফোটা ঘাম জমে গেল। বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সেই ঘাম মুছতে মুছতে তাকিয়ে রইলাম রহিমের মুখের দিকে। রহিমও তাকিয়ে রইল আমার দিকে। দুজনের মায়াভরা চারটি চোখের মিলন কোনোভাবেই যেন বিচ্ছেদের সুর শুনতে চাচ্ছে না। কিন্তু চারদিকের পরিবেশ হাত নেড়ে বলছে, যে যার মতো বাসায় চলে যাও।  জীবনে মনে হয় কোনোদিন এত অসহায় লাগে নি। যেকোনো মুহুর্তে বাবা চলে আসতে পারে তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রহিমকে বিদায় দিয়ে বাসায় ঢুকতে হলো।


ফেরার সময় বারবার পিছনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আমার বাবুটিও যেন যেতে চাচ্ছে না। তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আসলে রহিমকে বাবু বলে ডাকার অন্য একটি কারণ আছে তা পরে বলবো। বাসায় ঢুকে বারান্দায় গিয়ে আবার বাইরের দিকে তাকালাম দেখলাম রহিম এমনভাবে হাটছে যেন ১০৫ ডিগ্রী জ্বরে আক্রান্ত কোনো যুবক হেঁটে যাচ্ছে। রহিমের চেহারা এখন আর তেমন বুঝা যাচ্ছে না। হেঁটে হেঁটে যেন ভোরবেলার কুয়াশার মতো রাস্তার সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝেই আমাদের বাসার দিকে তাকায়। এসময় আমি আমার ডান হাতে একটু চুমু দিয়ে হাতটি রহিমের দিকে ছুড়ে দিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম হাতের উপর কয়েকফোটা জল। এরমধ্যেই আম্মু রুমে এসে বলল, ‘তোর চোখে জল কেন’? আমিতো থতমত খেয়ে গেলাম। সাথে সাথে ওড়না দিয়ে চোখের জল মুছে একটি হাচি দিয়ে বললাম, ‘হাচি আসছিল আম্মু’। কিন্তু আমার বুবুটার জন্য বুকের মধ্যে কেমন যেন চিনচিন করছিল। পদ্মা মেঘনার ঢেউ যেন আছরে পরে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল আমার হৃদয়ের সকল অবয়ব।
প্রায় পাঁচ ছয় মাস পরে প্রিয়তি তার সেই বান্ধবী সাগরীকাকে বলল, ‘দোস্ত একটা কথা’। সাগরীকা বলল, ‘কি কথা বল’। প্রিয়তির মুখে মেঘের ভার, কপালে বিন্দু বিন্দু জল।  সাগরীকা প্রিয়তির মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আর মনে মনে বলল, ‘যেই প্রিয়তির সাথে দেখা হলে রহিমের কথা বলতে বলতে হাসিতে মেতে উঠত, আর আজ কি অসহায় তার চোখ, কি অসহায় তার মুখ’। সাগরীকা প্রিয়তিকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি রে তোর মন খারাপ কেন? তোর চেহারার এমন অবস্থা কেন’? এসময় প্রিয়তি সাগরীকাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। সাগরীকাও আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না। এরপর সাগরীকা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ওড়না দিয়ে প্রিয়তির চোখ মুখ মুছে দিয়ে বলল, ‘কি হয়েছে বল’। প্রিয়তি ভাঙ্গা কন্ঠে করুন সুরে বলল, ‘কিছু হয়নিরে সাগরীকা তবে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, আজ আর তোর সহায়তা ছাড়া আমার মুক্তি নেই’। সাগরীকা বলল, ‘তোর সেই বাবুটা কই’? এই কথাটি প্রিয়তির বুকের মধ্যে যেন তিরের মতো বিদ্ধ হলো। প্রিয়তির ঠোঁট কাঁপছে। কিছু বলতে চায় কিন্তু আবার ফিরিয়ে নেয়। এরপর অনেক কষ্টে মুখ খুলল প্রিয়তি, ‘তুই বুজি আজ আমাকে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছিস’। সাগরীকা বলল, ‘এই কথা কেন বলছিস? এতদিন তো আমাদের একটু সময়ও দিতি না। ক্লাশ শেষ না হতেই বাবুকে নিয়ে বের হয়ে যেতি। আগেতো বাসায় গিয়েও অনেক ফোন দিতি। বলতে পারবি তিন চার মাসের মধ্যে ভুলেও একবার আমাকে ফোন দিয়েছিস’? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির বুকটি যেন ঝাজড়া হয়ে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে। সাথে প্রিয়তির পেটের মধ্যে জন্ম নেওয়া তিন চার মাসের ভ্রুনটিও যেন বের হয়ে যেতে চাচ্ছে।  প্রিয়তি মনে মনে বলছে, ‘বের হয়ে যাক পেটের মধ্যে থেকে, তাহলে সকল আপদ মুক্ত হতো’। প্রিয়তির চোখে আবার ঝর্নার মতো জল দেখে সাগরীকা নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, ‘সরি দোস্ত আসলে আমি বুঝতে পারিনি তোর মনে এত কষ্ট। আমাকে ক্ষমা করে দিস।  কি হয়েছে তোর, আমাকে সব খুলে বল’।

প্রিয়তি কাপাকাপা কন্ঠে বলল, ‘আমাকে একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবি? আমার খুব লজ্জা করছেরে সাগরীকা, তুই আর আমাকে লজ্জা দিছ না’। এই বলে প্রিয়তি তার সামান্য উঁচু হওয়া পেটটিতে হাত দিয়ে দেখালো। সাগরীকার আর কিছু বুঝতে বাকি রইল না। শুধু মনে মনে বলল, ‘আহারে প্রিয়তির সেই আদরের বাবুটিও আজ বাবুর বাবা হতে চলছে’। এরপর সাগরীকা প্রিয়তিকে বলল, ‘তোর সেই বাবুটিকেও ডাক একসাথে যাই ডাক্তারের কাছে’। প্রিয়তি একটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল, ‘তুই আর বাবু বাবু ডেকে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিছ না। বাবু এখন আর বাবু নেই। আমাকে একটি বাবু দিয়ে সে চলে গিয়েছে। সে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে এখন বাবু ডাকলে অপমান করা হবে। এখন অন্য কেউ তাকে বাবু ডাকে না, বর বলে ডাকে। আর সে এত তাড়াতাড়ি বর না হলেও বাবু বাবু ডাকার মতো নারীর এখন কি তার অভাব আছে’? সাগরিকা বলল, ‘আর তুই’? প্রিয়তি বাম হাত দিয়ে চোখের জল মুছছে আর ডান হাত সেই উচু পেটে রেখে বলল, ‘আমি এখন আর আমার বুকের সন্তানকে নষ্ট করবো না। আমি এই বুকের সন্তানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখবো। ওকেই আমি বাবু বাবু ডেকে জীবনটা পাড় করে দেবো। এটাই আমার সান্ত্বনা’।

সাগরীকা প্রিয়তির কথা যতই শুনছে ততই অবাক হয়ে হচ্ছে। কিছুক্ষন নীরব থেকে বলল, ‘তোর আসল বাবুরই খবর নেই আর এই নতুন বাবুকে বুকে নিয়ে কি কলঙ্কের ভার আরো ভারী করতে চাস? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির লাল চোখ আরো লাল হতে লাগল। রক্তাক্ত চোখেই সাগরীকার দিকে তাকিয়ে প্রিয়তি বলল, ‘এটা আমার ভালোবাসার ফসল, ভালোবাসার ক্ষেত্রে কলঙ্ক বলতে কিছু নেই। আর কলঙ্ক যদি হয়েই থাকে হোক তাতে কি আমি এই কলঙ্ক মাথায় নিয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমি যে জীবনে কাউকে ভালোবেসছিলাম, কারো কাছে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলাম তার একটু স্মৃতি বা চিহ্ন হলেও থাক আমার বুকে। স্মৃতির মাঝেতো একটু ক্ষত থাকবেই।
night, couple, romance, love, silhouette, romantic, set, human ...
সাগরীকা প্রিয়তিকে অনেক বোঝালো তারপর প্রিয়তি রাজী হলো অনাগত সন্তানটি এবরশন করার জন্য। এর কয়েকমাস পর নিউজ পেপারে একটি হেডলাইন হলো, “রাস্তার উপর ব্যাগে মোড়ানো জীবন্ত শিশু”। খবরটি মুহূর্তের মধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেল। সেই নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটিও খবরটি তার নিজ আইডিতে শেয়ার করে লিখলো, ‘কিয়ামত খুবই সামনে চলে আসছে’। তার এই স্ট্যাটাস দেখে প্রিয়তীর বান্ধবী সাগরীকা হাহা রিএ্যাক্ট দিলো। কিন্তু নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটি কিছুই বুঝতে পারলো না। আর প্রিয়তি তো তার সেই প্রিয় বাবুটির ব্লক লিস্টেই আছে। সাগরীকা প্রিয়তিকে নীল পাঞ্জাবীওয়ালার স্ট্যাটাস স্কীনসট দিয়ে দেখালো। প্রিয়তি স্কীনসট দেখে চোখে একফোটা জলও আনলো না। শুধু তাকিয়ে রইল স্কীনসটের উপরে গোলাকার ছোট্ট একটি ছবির (প্রোফাইল পিকচার) উপর। এই সেই নীল পাঞ্জাবীপড়া ছবি যা দেখে সে বাবুটিকে নিজের বর হিসেবেই ভেবে নিয়েছিল। এসময় প্রিয়তিও তার প্রোফাইলে লাল শাড়ি পড়া ছবিটি দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল।








Click,tag,button,internet,web - free image from needpix.com

Add caTP-Link TL-WN725N 150Mbps Wireless N Nano USB Adapter (Black)ption

কথাটি শুনে রহিমের মুখটি কেমন যেন মেঘাচ্ছন্ন হয়ে গেল। কিন্তু কিছু বুঝতে না দিয়ে মুহূর্তের মধ্যেই হেসে দিয়ে বলল, ‘আমি একটু আগেই বাসা থেকে খেয়ে এসেছি’। ও বুঝতে দিতে না চাইলেও ওর চেহারা দেখেই আমি বুঝতে পারলাম ওর পকেটে হয়তো টাকা কম ছিল। টাকা নেই পকেটে তারপরেও একটি নয় দুটি বিরিয়ানি এনেছে। খুব মায়া হলো রহিমের জন্য। ভালোবাসায় হৃদয়টি ভরে গেল। মন চেয়েছিল বিরিয়ানির প্যাকেটটি খুলে নিজের হাত দিয়ে ওকে একটু খাইয়ে দেই। কিন্তু বাসার নিচে দাঁড়িয়ে খাওয়াতে গেলে কেউ দেখে ফেললে সমস্যা হবে। আম্মুতো ওর কথা জানে না তাই ওকে বাসায়ও আসতে বলতে পারলাম না। নিজেকে খুব অসহায় লাগছে। কপালে কুয়াশার মতো কয়েকফোটা ঘাম জমে গেল। বাম হাতের বুড়ো আঙ্গুল দিয়ে সেই ঘাম মুছতে মুছতে তাকিয়ে রইলাম রহিমের মুখের দিকে। রহিমও তাকিয়ে রইল আমার দিকে। দুজনের মায়াভরা চারটি চোখের মিলন কোনোভাবেই যেন বিচ্ছেদের সুর শুনতে চাচ্ছে না। কিন্তু চারদিকের পরিবেশ হাত নেড়ে বলছে, যে যার মতো বাসায় চলে যাও।  জীবনে মনে হয় কোনোদিন এত অসহায় লাগে নি। যেকোনো মুহুর্তে বাবা চলে আসতে পারে তাই অনিচ্ছা সত্ত্বেও রহিমকে বিদায় দিয়ে বাসায় ঢুকতে হলো।


ফেরার সময় বারবার পিছনের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম আমার বাবুটিও যেন যেতে চাচ্ছে না। তার চোখমুখ লাল হয়ে গেছে। জ্বলন্ত চোখে তাকিয়ে আছে আমার দিকে। আসলে রহিমকে বাবু বলে ডাকার অন্য একটি কারণ আছে তা পরে বলবো। বাসায় ঢুকে বারান্দায় গিয়ে আবার বাইরের দিকে তাকালাম দেখলাম রহিম এমনভাবে হাটছে যেন ১০৫ ডিগ্রী জ্বরে আক্রান্ত কোনো যুবক হেঁটে যাচ্ছে। রহিমের চেহারা এখন আর তেমন বুঝা যাচ্ছে না। হেঁটে হেঁটে যেন ভোরবেলার কুয়াশার মতো রাস্তার সাথে মিলিয়ে যাচ্ছে। তবে মাঝে মাঝেই আমাদের বাসার দিকে তাকায়। এসময় আমি আমার ডান হাতে একটু চুমু দিয়ে হাতটি রহিমের দিকে ছুড়ে দিলাম। হঠাৎ দেখতে পেলাম হাতের উপর কয়েকফোটা জল। এরমধ্যেই আম্মু রুমে এসে বলল, ‘তোর চোখে জল কেন’? আমিতো থতমত খেয়ে গেলাম। সাথে সাথে ওড়না দিয়ে চোখের জল মুছে একটি হাচি দিয়ে বললাম, ‘হাচি আসছিল আম্মু’। কিন্তু আমার বুবুটার জন্য বুকের মধ্যে কেমন যেন চিনচিন করছিল। পদ্মা মেঘনার ঢেউ যেন আছরে পরে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছিল আমার হৃদয়ের সকল অবয়ব।
প্রায় পাঁচ ছয় মাস পরে প্রিয়তি তার সেই বান্ধবী সাগরীকাকে বলল, ‘দোস্ত একটা কথা’। সাগরীকা বলল, ‘কি কথা বল’। প্রিয়তির মুখে মেঘের ভার, কপালে বিন্দু বিন্দু জল।  সাগরীকা প্রিয়তির মুখের দিকে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল আর মনে মনে বলল, ‘যেই প্রিয়তির সাথে দেখা হলে রহিমের কথা বলতে বলতে হাসিতে মেতে উঠত, আর আজ কি অসহায় তার চোখ, কি অসহায় তার মুখ’। সাগরীকা প্রিয়তিকে জিজ্ঞেস করলো, ‘কি রে তোর মন খারাপ কেন? তোর চেহারার এমন অবস্থা কেন’? এসময় প্রিয়তি সাগরীকাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ল। সাগরীকাও আর নিজের চোখের জল ধরে রাখতে পারলো না। এরপর সাগরীকা নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করে নিজের ওড়না দিয়ে প্রিয়তির চোখ মুখ মুছে দিয়ে বলল, ‘কি হয়েছে বল’। প্রিয়তি ভাঙ্গা কন্ঠে করুন সুরে বলল, ‘কিছু হয়নিরে সাগরীকা তবে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, আজ আর তোর সহায়তা ছাড়া আমার মুক্তি নেই’। সাগরীকা বলল, ‘তোর সেই বাবুটা কই’? এই কথাটি প্রিয়তির বুকের মধ্যে যেন তিরের মতো বিদ্ধ হলো। প্রিয়তির ঠোঁট কাঁপছে। কিছু বলতে চায় কিন্তু আবার ফিরিয়ে নেয়। এরপর অনেক কষ্টে মুখ খুলল প্রিয়তি, ‘তুই বুজি আজ আমাকে কাঁটা ঘায়ে নুনের ছিটা দিচ্ছিস’। সাগরীকা বলল, ‘এই কথা কেন বলছিস? এতদিন তো আমাদের একটু সময়ও দিতি না। ক্লাশ শেষ না হতেই বাবুকে নিয়ে বের হয়ে যেতি। আগেতো বাসায় গিয়েও অনেক ফোন দিতি। বলতে পারবি তিন চার মাসের মধ্যে ভুলেও একবার আমাকে ফোন দিয়েছিস’? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির বুকটি যেন ঝাজড়া হয়ে রক্ত বের হয়ে যাচ্ছে। সাথে প্রিয়তির পেটের মধ্যে জন্ম নেওয়া তিন চার মাসের ভ্রুনটিও যেন বের হয়ে যেতে চাচ্ছে।  প্রিয়তি মনে মনে বলছে, ‘বের হয়ে যাক পেটের মধ্যে থেকে, তাহলে সকল আপদ মুক্ত হতো’। প্রিয়তির চোখে আবার ঝর্নার মতো জল দেখে সাগরীকা নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলল, ‘সরি দোস্ত আসলে আমি বুঝতে পারিনি তোর মনে এত কষ্ট। আমাকে ক্ষমা করে দিস।  কি হয়েছে তোর, আমাকে সব খুলে বল’।

প্রিয়তি কাপাকাপা কন্ঠে বলল, ‘আমাকে একজন গাইনি ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাবি? আমার খুব লজ্জা করছেরে সাগরীকা, তুই আর আমাকে লজ্জা দিছ না’। এই বলে প্রিয়তি তার সামান্য উঁচু হওয়া পেটটিতে হাত দিয়ে দেখালো। সাগরীকার আর কিছু বুঝতে বাকি রইল না। শুধু মনে মনে বলল, ‘আহারে প্রিয়তির সেই আদরের বাবুটিও আজ বাবুর বাবা হতে চলছে’। এরপর সাগরীকা প্রিয়তিকে বলল, ‘তোর সেই বাবুটিকেও ডাক একসাথে যাই ডাক্তারের কাছে’। প্রিয়তি একটি দীর্ঘশ্বাস নিয়ে বলল, ‘তুই আর বাবু বাবু ডেকে আমাকে ক্ষতবিক্ষত করে দিছ না। বাবু এখন আর বাবু নেই। আমাকে একটি বাবু দিয়ে সে চলে গিয়েছে। সে এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। তাকে এখন বাবু ডাকলে অপমান করা হবে। এখন অন্য কেউ তাকে বাবু ডাকে না, বর বলে ডাকে। আর সে এত তাড়াতাড়ি বর না হলেও বাবু বাবু ডাকার মতো নারীর এখন কি তার অভাব আছে’? সাগরিকা বলল, ‘আর তুই’? প্রিয়তি বাম হাত দিয়ে চোখের জল মুছছে আর ডান হাত সেই উচু পেটে রেখে বলল, ‘আমি এখন আর আমার বুকের সন্তানকে নষ্ট করবো না। আমি এই বুকের সন্তানকে নিয়েই স্বপ্ন দেখবো। ওকেই আমি বাবু বাবু ডেকে জীবনটা পাড় করে দেবো। এটাই আমার সান্ত্বনা’।

সাগরীকা প্রিয়তির কথা যতই শুনছে ততই অবাক হয়ে হচ্ছে। কিছুক্ষন নীরব থেকে বলল, ‘তোর আসল বাবুরই খবর নেই আর এই নতুন বাবুকে বুকে নিয়ে কি কলঙ্কের ভার আরো ভারী করতে চাস? সাগরীকার কথায় প্রিয়তির লাল চোখ আরো লাল হতে লাগল। রক্তাক্ত চোখেই সাগরীকার দিকে তাকিয়ে প্রিয়তি বলল, ‘এটা আমার ভালোবাসার ফসল, ভালোবাসার ক্ষেত্রে কলঙ্ক বলতে কিছু নেই। আর কলঙ্ক যদি হয়েই থাকে হোক তাতে কি আমি এই কলঙ্ক মাথায় নিয়েই বাকিটা জীবন কাটিয়ে দিতে চাই। আমি যে জীবনে কাউকে ভালোবেসছিলাম, কারো কাছে ভালোবাসা উজাড় করে দিয়েছিলাম তার একটু স্মৃতি বা চিহ্ন হলেও থাক আমার বুকে। স্মৃতির মাঝেতো একটু ক্ষত থাকবেই।
night, couple, romance, love, silhouette, romantic, set, human ...
সাগরীকা প্রিয়তিকে অনেক বোঝালো তারপর প্রিয়তি রাজী হলো অনাগত সন্তানটি এবরশন করার জন্য। এর কয়েকমাস পর নিউজ পেপারে একটি হেডলাইন হলো, “রাস্তার উপর ব্যাগে মোড়ানো জীবন্ত শিশু”। খবরটি মুহূর্তের মধ্যেই ফেসবুকে ভাইরাল হয়ে গেল। সেই নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটিও খবরটি তার নিজ আইডিতে শেয়ার করে লিখলো, ‘কিয়ামত খুবই সামনে চলে আসছে’। তার এই স্ট্যাটাস দেখে প্রিয়তীর বান্ধবী সাগরীকা হাহা রিএ্যাক্ট দিলো। কিন্তু নীল পাঞ্জাবীওয়ালা বাবুটি কিছুই বুঝতে পারলো না। আর প্রিয়তি তো তার সেই প্রিয় বাবুটির ব্লক লিস্টেই আছে। সাগরীকা প্রিয়তিকে নীল পাঞ্জাবীওয়ালার স্ট্যাটাস স্কীনসট দিয়ে দেখালো। প্রিয়তি স্কীনসট দেখে চোখে একফোটা জলও আনলো না। শুধু তাকিয়ে রইল স্কীনসটের উপরে গোলাকার ছোট্ট একটি ছবির (প্রোফাইল পিকচার) উপর। এই সেই নীল পাঞ্জাবীপড়া ছবি যা দেখে সে বাবুটিকে নিজের বর হিসেবেই ভেবে নিয়েছিল। এসময় প্রিয়তিও তার প্রোফাইলে লাল শাড়ি পড়া ছবিটি দিয়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে রইল।








Saturday, June 8, 2019

হাওড়া ব্রিজের কাছে একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন


হাওড়া ব্রিজের কাছে একটি রাসায়নিক গুদামে আগুন ঘটনাস্থলে দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন

কলকাতা: 

হাইলাইটস

    হাওড়া ব্রিজের (Howrah Bridge) কাছে একটি গুদামে আগুন। ঘটনাস্থলে  দমকলের ২০ টি ইঞ্জিন। জগন্নাথ ঘাটের (Jagannath Ghat)  কাছে থাকা ওই গুদামটিতে প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক পদার্থ  (Chemical Factory) মজুদ ছিল বলে জানা গিয়েছে।  গুদামটির একদিকে গঙ্গা অন্যদিকে রেল লাইন থাকায় কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে দমকল কর্মীদের। বাধ্য হয়ে দমকল কর্মীরা গুদামের  ছাদ থেকে  আগুন  নেভানোর চেষ্টা করছেন।  তবে সেখানেও সমস্যা  পিছু ছাড়ছে না। আগুনের তাপে ছাদের  একটি অংশ ভেঙে যায়। এরই মধ্যে কাজ চালাচ্ছেন দমকল কর্মীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে রাত  আড়াইটে নাগাদ  আগুন লাগে। খবর পাওয়ার  পর কাজ  শুরু করে  দনকল। ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে  ইঞ্জিনের সংখ্যা। দিন কয়েক আগে মধ্য কলকাতার বাগরি মার্কেটে (Bagri Market Fire) আগুন লাগে।
    প্রায় তিন দিন ধরে  জ্বলতে থাকে বাজার। কোটি কোটি টাকার সামগ্রী পুড়ে ছাই হয়ে  যায় বলে দাবি ব্যবসায়ীদের। এবার আগুন লাগল জগন্নাথ ঘাটে (Jagannath Ghat Fire) । বাগরি মার্কেটে আগুন আতঙ্কের প্রহর কাটে প্রায় তিন দিন পরে। এক শনিবার শেষরাত থেকে শুরু হওয়া দমকলের লড়াই শেষ হয় সোমবার    দুপুরে। তবে মধ্যে বাজারের প্রায় পুরোটাই পুড়ে যায়। দুর্বল হয়ে যায় বাড়ির বিভিন্ন জায়গা।  প্রথম থেকেই আগুন লাগার কারণ নিয়ে নানা রকমের মত উঠে আসতে থাকে। মার্কেটের মালিক ও সিইও সহ তিনজনের নামে এফআইআর করে রাজ্য প্রশাসন। উত্তর ও মধ্য  কলকাতার একাধিক জায়গায় মাঝে  মধ্যেই আগুন লেগে ভয়াবহ কাণ্ড ঘটে যায়। সম্পত্তিহানী থেকে শুরু করে প্রাণহানীর মতো ঘটনা  ঘটতে থাকে।
    COMMENT

     এবার আবার  জগন্নাথ ঘাটে আগুন  লাগল। আগুন  নিভে  যাওয়ার পর কারণ খতিয়ে দেখার কাজ শুরু করবে প্রশাসন। এই ধরনের  বড় আগুনের ক্ষেত্রে দমকলের তরফে  এফআইআর করা হয়। এবারও তাই হবে। আগুন মোকাবিলার মতো ব্যবস্থা ছিল কিনা তা খতিয়ে দেখা হবে।  

    ১৭ কাউন্সিলরের দলবদল, দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিল বিজেপি১৭ কাউন্সিলরের দলবদল, দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিল বিজেপি

    ১৭ কাউন্সিলরের দলবদল, দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিল বিজেপি

    দার্জিলিং: 
    দার্জিলিং পৌরসভার (Darjeeling Municipality) ১৭ জন গোর্খা জনমুক্তিমোর্চার কাউন্সিলর যোগ দিলেন বিজেপিতে। এর ফলে দার্জিলিং পৌরসভার দখল নিল বিজেপি (BJP)। দার্জিলিং পৌরসভার (Darjeeling Municipality) মোট আসন সংখ্যা ৩২, দুটি আসন ফাঁকা রয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের ফলপ্রকাশের পর থেকে এই নিয়ে মোট ৫টি পৌরসভার দখল নিল বিজেপি (BJP)। ২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে যেখানে বাংলায় ৪২ আসনের মধ্যে মাত্র দুটি আসনে জিতেছিল বিজেপি, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮। অন্যদিকে, গতবারের লোকসভা নির্বাচনের থেকে এবার ১২টি আসন কমেছে তৃণমূল কংগ্রেসের। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে এ রাজ্যের ২২টি আসনে জোড়াফুল ফুটেছে। এর আগে ভাটপাড়া, কাঁচরাপাড়া, হালিশহর, এবং নৈহাটি পৌরসভার দখল নিয়েছে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী দিনেশ ত্রিবেদীকে হারিয়ে পদ্মফুল ফুটিয়েছেন বিজেপি (BJP) প্রার্থী অর্জুন সিং।
    লোকসভা নির্বাচনের আগে পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন ভাটপাড়ার বিধায়ক অর্জুন সিং। এপ্রিলে বিজেপিতে যোগদান করেন তিনি। সেই সময়, পদ থেকে সরানো হয় অর্জুন সিংকে। তবে তাঁর জয়ের পর, বিজেপিতে যোগদান করেন তৃণমূল প্রার্থী এবং তাঁকে ফের ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান নির্বাচিত করা হয়।
    ভাটপাড়া পৌরসভায় ৩৪ জন কাউন্সিলরের মধ্যে ২৬টি ভোট পায় বিজেপি (BJP) । ফলে বোর্ডের ক্ষমতা যায় তাঁদের হাতে। আগামী দিনে শহরে বড় বিক্ষোভ সমাবেশ করা হবে বলে জানান বিজেপি নেতা মুকুল রায়।
    গত মাসে, তৃণমূল নেতাদের অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করেন। তালিকায় রয়েছেন তিন বিধায়ক, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায়, তুষারকান্তি ভট্টাচার্য এবং সিপিআইএমের দেবেন্দ্রনাথ রায়। এছাড়াও  ১৬ জন তৃণমূল কংগ্রেস কাউন্সিলর বিজেপিতে (BJP) যোগদান করেন। যা তৃণমূলস্তরে সংগঠনের পক্ষে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
    তাঁদের ভয় দেখিয়ে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
    বিভিন্ন দল থেকে সাত দফায় অন্যান্য দলের নেতাদের বিজেপিতে (BJP) যোগদান করানো হবে মন্তব্য করেছেন বিজেপি নেতা তথা রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কৈলাশ বিজয়বর্গীয়। তিনি বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে সাত দফায় ভোটগ্রহণের মতোই, বিজেপিতে (BJP) যোগদানও হবে সাত দফায়। আজ ছিল প্রথম দফা”।

    Bharat Box Office Collection Day 3: Salman Khan, Katrina Kaif's Film Ready For 'Another Benchmark'


    Bharat Box Office Collection Day 3: Salman Khan, Katrina Kaif's Film Ready For 'Another Benchmark'

    NEW DELHI: 

    HIGHLIGHTS

      The magic of Salman Khan was witnessed yet again with his Eid offering Bharat. The Ali Abbas Zafar-directed film had a blockbuster opening and made just a shade under Rs. 100 crore in three days, reported trade analyst Taran Adarsh. While the holiday release on Eid played a key role in providing a massive boost to Bharat's opening collections, the numbers dipped on the following days but were still impressive enough to push to the total to Rs. 95 crore. As is trend, Bharat is expected to storm the box office yet again over the weekend. "Bharatmaintains a grip on Day 3 [Fri]... Mass circuits remain strong, while some circuits faced normal decline after Eid festivities... Should witness an upturn on Day 4 [Sat] and 5 [Sun]... Wed 42.30 cr, Thu 31 cr, Fri 22.20 cr. Total: Rs. 95.50 cr. India biz," tweeted Taran Adarsh.


      In his box office report-card for Bharat, the trade analyst also assured that Salman Khan's film will sure shot sign up for the Rs. 100 crore-plus club once Saturday comes to an end and this will mark "another benchmark" for the superstar. With its Rs. 100 crore, Bharat will be Salman's 14th Rs. 100 crore film: "As #Bharat cruises past Rs. 100 cr mark today [Day 4], Salman Khan sets another benchmark: Highest number of films in Rs. 100 cr+ Club... The tally rises to 14 with Bharat."
       SHARE
      EMAIL
      PRINT
      COMMENTS
      Bharat Box Office Collection Day 3: Salman Khan, Katrina Kaif's Film Ready For 'Another Benchmark'
      Bharat Box Office: Salman, Katrina in a still (courtesy taranadarsh)

      NEW DELHI: 

      HIGHLIGHTS

        The magic of Salman Khan was witnessed yet again with his Eid offering Bharat. The Ali Abbas Zafar-directed film had a blockbuster opening and made just a shade under Rs. 100 crore in three days, reported trade analyst Taran Adarsh. While the holiday release on Eid played a key role in providing a massive boost to Bharat's opening collections, the numbers dipped on the following days but were still impressive enough to push to the total to Rs. 95 crore. As is trend, Bharat is expected to storm the box office yet again over the weekend. "Bharatmaintains a grip on Day 3 [Fri]... Mass circuits remain strong, while some circuits faced normal decline after Eid festivities... Should witness an upturn on Day 4 [Sat] and 5 [Sun]... Wed 42.30 cr, Thu 31 cr, Fri 22.20 cr. Total: Rs. 95.50 cr. India biz," tweeted Taran Adarsh.
        Read his tweet here:
        In his box office report-card for Bharat, the trade analyst also assured that Salman Khan's film will sure shot sign up for the Rs. 100 crore-plus club once Saturday comes to an end and this will mark "another benchmark" for the superstar. With its Rs. 100 crore, Bharat will be Salman's 14th Rs. 100 crore film: "As #Bharat cruises past Rs. 100 cr mark today [Day 4], Salman Khan sets another benchmark: Highest number of films in Rs. 100 cr+ Club... The tally rises to 14 with Bharat."
        Bharat achieved more than one feat for Salman Khan on its opening day - Rs 42 crore turned out to be the superstar's biggest Eid opening ever and also his highest opening collection ever, prompting Salman to issue a tweet of thanks for fans:

        সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করব, দম থাকলে আটকান', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের

        সবকিছু নিয়েই রাজনীতি করব, দম থাকলে আটকান', মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি চ্যালেঞ্জ দিলীপ ঘোষের পুরুলিয়ায় এক দলীয় কর্মসূচিতে তিনি বলেন, “আমরা হরি...